computer tips



কম্পিউটারের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য নিচের কাজগুলি করুনঃ

১। অযাচিত সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকুন।
২। কাজ শেষ হয়ে গেলে যে সব সফ্টওয়্যার আপাতত আর কেজে লাগবে
না, সেগুলি আনইনস্টল করুন।
৩। সপ্তাহে অন্তত একবার ডিক্স ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
৪। রিলায়েবল একটি আপডেটেড এন্টিভাইরাস ইউজ করুন, একাধিক
এন্টিভাইরাস ইনস্টল করবেন না, পিসিকে স্লো করে দেয়।
৫। এটা ফলো করুনঃ folder option>view>hide protected
operating system file(এটাকে uncheck করুন) এবার আপনার
পিসির যেকোন ড্রাইভে যান, এরপর দেখুন system volume
information নামের একটা ফোল্ডার আছে, এর ভেতরে সবকিছু
ডিলিট করুন (শুধু change.log নামের ফাইল ছাড়া) এভাবে সব
ড্রাইভে একই কাজটি করুন। এর ফলে পিসির সব ড্রাইভে অনেক
জায়গা খালি হবে।
৬। এবার যান>Start>run>লিখুন % temp% এরপর okতে ক্লিক
করুন! দেখবেন অনেক ফিলে এসেছে এগুলি ডিলিট করুন। এতে
পিসির সিস্টেম ড্রাইভের জায়গা বাড়বে।
৭। এরপর windows/temp এ যান>এর ভেতরের সবকিছু ডিলিট
করুন।
৮। প্রত্যেক ড্রাইভে মিনিমাম ১৫% জায়গা খালি রাখুন, এতে পিসির
স্পিড বাড়বে।
৯। পিসিতে ডিক্স/ফ্লপি/পেন ড্রাইভ যাই add করুন না কেন, অবশ্যই
ওপেন করার আগে ভালো এন্টিভাইরাস দিয়ে চেক করে নেবেন।
১০। আপনারা টুইন-আপ ইউটিলিটিজ ব্যবহার করতে পারেন। এটাও ভালো!



ল্যাপটপের জন্য নিচের ট্রিক্সগুলো ইউজ করুনঃ

১। ল্যাপটপের ব্যাটারীর বেস্ট পারফরমেন্সের জন্যঃ
ক) ব্যাটারীতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
খ) দরকারি ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ করে রাখুন
গ) ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন
ঘ) হার্ডডিস্ক থেকে মুভি-গান প্লে করুন, কারন সিডি/ডিভিডি রম অনেক বেশি পাওয়ার নেয়।
ঙ) এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রাখুন, সহজে বাতাস চলাচল করে এমন ভাবে ল্যাপটপ পজিশনিং করুন, সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না
চ) সাট ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ইউজ করুন।
ছ) মাঝে মাঝে ব্যাটারীর কানেক্টর লাইন পরিস্কার করুন।
জ) অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।
ঝ) হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ এর মেইনটিনেন্স কোন কাজ করবেন না।
ঞ) ব্যাটারী দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও ২/৩ সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারী থেকে চালাতে হবে, নতুবা ব্যাটারী আয়ু কমে যাবে।

২। মেমরী কম ব্যবহারের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম/উইন্ডো মিনিমাইজ করে রাখুন।
৩। মাঝে মাঝে মেমরী ক্লিনের জন্য RamCleaner, RamOptimizer, MemMonster, Free Up Ram, SuperRam,
RamSmash, MemZilla, MemoryWasher জাতীয় সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
৪। মজিলা অনেক ফ্রেন্ডলি ব্রাউজার হলেও এটা অনেক মেমরি ব্যবহার করে, এখান থেকে মেমরি ব্যবহার করা কমাতে পারেন।
৫। মজিলার প্লাগইনগুলো আপডেট করুন সবসময়।
৬। আমরা অনেকেই মজিলার অনেক এক্সটেনশন ব্যবহার করি মজিলাকে সাজাতে ও অন্যান্য সুবিধা পেতে। কিছু কিছু এক্সটেনশন আছে যা সমস্যা করে পারফরমেন্সে। এসব ঝামেলাকর এক্সটেনশন পরিহার করুন।
৭। ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। তবে অবশ্যই নরটন এন্টিভাইরাস না, কারন সিস্টেমকে অনেক স্লো করে।
৮। মাঝে মাঝে অনলাইন থেকেও ল্যাপটপ/পিসি স্ক্যান করতে পারেন।
৯। স্পাইওয়ার মুক্ত রাখুন কারন এগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করে সিস্টেমের পারফরমেন্সে ব্যাঘাত ঘটায়।
১০। পারফরমেন্স বাড়াতে TuneUp Utilities এবং System Mechanic
১১। নিয়মমাফিক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
১২। আপাতত দরকার নাই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।


☼ ব্যাকআপ ডিলিট করাঃ
প্রতিটা দরকারি সফটওয়ার/কাজের ব্যাকআপ রাখা ভালো, যাতে কোন কারনে সিস্টেমে সমস্যা দেখা দিলে ব্যাকআপ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু কিছু সফটওয়ার আছে, যাতে কিছু কাজ করলেই অটোমেটিক ব্যাকআপ করে রাখে, যা পিসির ডিক্সস্পেস কমিয়ে ফেলে, মেমরীতে প্রেসার ফেলে, এজন্য এইসব অদরকারী ব্যাকআপ দুর করে যেমন ডিক্সের জায়গা বেঁচে যায়, তেমনি মেমরীড় উপর প্রেসারও কমে, ফলে পিসির স্পীডও বাড়ে। এজন্য সার্চ অপশনে যান আর .bac, .bak, .bck, .bk!, .bk$. একে একে লিখে ফাইলগুলো খুজে খুজে ডিলিট করুন।

☼ ইরোর রিপোর্টিং বন্ধ করাঃ
মাঝে মাঝে পিসিতে কোন ইললিগ্যাল অপারেশনের কারনে, অথবা কোন এপ্লিকেশন হ্যাঙ্ক করলে যদি ফোর্স স্টপ (Ctrl+Shift+Del) করা হয়, তখন “send error report to Microsoft” এই মেসেজ আসে, যা খুবই বিরক্তিকর। এটা সহজেই তাড়াতে পারেন। এজন্য Start মেনুতে ক্লিক করে My Computer এর আইকনে রাইট ক্লিক করুন


এরপর Properties এ ক্লিক করুনAdvance সেলেক্ট করুন এরপর Error Reporting এ ক্লিক করুন।


এরপর ছবির মত করে Disable error reporting নির্বাচন করুন।



কম্পিউটারের ছোট্ট একটা ট্রিক্স, যা করে সহজেই কম্পিউটারে কম অভিজ্ঞ বিশেষ করে বাচ্চাদের ঠেকানো সম্ভব। প্রথম ছবিটা খেয়াল করুনঃ


প্রথমে সকল চালু এ্যাপ্লিকেশন/উইন্ডো মিনিমাইজ করুন, এবার কিবোর্ড থেকে Print Screen বাটন চাপুন, এরপর Paint চালু করে শুধু Ctrl+V চাপুন, তাহলে আপনার পিসির ডেক্সটপ ইমেজ ও আইকন পেইন্টে ইমেজ আকারে আসবে। সেভ করুন JPEG ফরম্যাটে।


এবার Start মেনুর ফাঁকা জায়গায় রাইট ক্লিক করুন, ছবির মত দেখুন Lock the taskbar আনচেক আছে কিনা, না থাকলে আনচেক করুন (টিক তুলে দিন)। এবার স্টার্ট মেনুবার এ লেফ্ট ক্লিক করে রেখে পুরা বারকে ডেক্সটপের বাম, ডান অথবা উপরে ড্রাগ করে নিয়ে যান। এতে স্টার্ট মেনুবার এর স্বাভাবিক নিচের অবস্থান পরিবর্তিত হয়ে যাবে।


এরপর ডেক্সটপে রাইট ক্লিক করে ছবির মত Auto-hide the taskbar চেক করে দিন, এরফলে টাক্সমেনু (স্টার্ট মেনুবার) অটো হাইড হবে, শুধু কার্সর ঐ বারের জায়গায় নিয়ে গেলে এই মেনুবার আসবে।

এখন আগের সেভ করা ইমেজ (যা পেইন্টে সেভ করেছেন)কে ডেক্সটপ ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে সেলেক্ট করুন, এবার ডেক্সটপে রাইট ক্লিক করে Show Desktop Icon আনচেক করুন,


এরফলে আপনার ডেক্সটপের সকল আইকন চলে যাবে, কিন্তু যেহেতু আগেই আপনি আইকনসহ ডেক্সটপের ইমেজ সেভ করে একে আবার ডেক্সটপের ইমেজ হিসাবে সিলেক্ট করেছেন, ফলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে, যে ডেক্সটপে আইকনগুলো আছে, ক্লিক করলে কিছু হবে না, কারন ওগুলো হলো ইমেজ, আর স্টার্টমেনুবার স্বাভাবিক নিচের অবস্থান থেকে সরিয়ে ডেক্সটপের (স্ক্রীনের) ডাম/বা/উপড়ে নিয়ে যাওয়ায় কম্পিউটারের সাথে অতটা পরিচিত নন, বিশেষ করে বাচ্চারা পিসিতে ঢুকতে পারবে না.......।

আবার স্বাভাবিক করতে আপনি Show Desktop Icon চেক করুন, আর স্টার্ট মেনুবার ড্রাগ করে নিচে নিয়ে আসলেই হবে!!!


Quick Launch চালু করুনঃ
Quick Launch উইন্ডোজের চমৎকার একটা মেনু সিস্টেম, যার অবস্থান স্ট্যাটাস বারে (স্টার্ট মেনুবার)।


এখানে আপনার অতি প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম/সফটওয়ারের সর্টকার্ট রেখে সহজেই এগুলি ব্যবহার করতে পারবেন। Quick Launch চালু করতে হলে আপনার পিসির স্ট্যাটাস বারে রাইট ক্লিক করে ছবির মত করে Quick Launch এ ক্লিক করুন, তার আগে অবশ্য Lock the Taskbar এ টিক তুলে দিন।


Quick Launch চালু হলেই দেখবেন, অটোমেটিক কিছু প্রোগ্রামের শর্টকার্ট চলে এসেছে যেমনঃ মিডিয়াপ্লেয়ার, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ইত্যাদি। এছাড়া আপনার প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের আইকনে-যেগুলি ডেক্সটপে আছে ও স্টার্ট বাটন এ ক্লিক করলে প্রোগ্রামলিষ্টাকারে রয়েছে, সেখান থেকে দরকারী আইকনে রাইট ক্লিক করে Add to Quick Launch সিলেক্ট করুন, চলে আসবে Quick Launch এ। যদি অনেক বেশি আইকন হয়, তাহলে দেখবেন একটা এ্যারো এসেছে, যেখানে ক্লিক করলে সবগুলৈ দেখাচ্ছে, যেহেতু আপনি Lock the Taskbar আনচেক করছেন, তাই ঐ এ্যারোর পাশে ডটেড লাইন এ লেফট ক্লিক করে ডানে সরিয়ে দিন, তাহলে আরো বেশি আইকন Quick Launchএ দেখাবে।

ভিস্তার জন্য Quick Launch এর স্পেশাল টিপসঃ উপড়ে দেখানো ছবিতে Quick Launch এ ১১টা আইকন আছে, এগুলোতে ক্লিক না করেই চালু করতে পারবেন এই Quick Launch এর প্রোগ্রামগুলো। ছবি দেখুনঃ


Mozilla Firefox 3 এর টিপসঃ

☼Mozilla Firefox 3 এ কোন লিঙ্ক নতুন ট্যাবে ওপেন করতে মাউসের মাঝের বাটনে ক্লিক করুন।

☼পেজ দ্রুত জুমইন-জুমআউট করতে CTRLও +, or CTRL ও - একসাথে চাপুন।

☼একাধিক ট্যাবের বাম থেকে ডানে যেতে CTRL + TAB এবং ডান থেকে বামে যেতে CTRL + SHIFT + TAB চাপুন।

☼এছাড়া ১ম ট্যাবে যেতে CTRL + 1, ২য় ট্যাবে যেতে CTRL + 2...............

☼সকল ট্যাব বন্ধ করতে CTRL + W চাপুন




সময়ে অসময়ে আমরা পিসি থেকে অনেক ফাইল ডিলিট করে ফেলি। কিন্তু পরে দেখা যায়, মুছে ফেলা ফাইলটি জরুরি হয়ে পড়েছে। এজন্য কোন কিছু ডিলিট করার আগে ভেবে চিন্তে ডিলিট করা দরকার। এজন্য সরাসরি শিফট-ডিলিট বাটন চেপে ডিলিট না করে শুধু ডিলিট বাটন দিয়ে ডিলিট করা উচিত এতে রিসাইকেল বিনে ঐ ফাইলটি সংরক্ষিত থাকবে যদিনা আপনি রিসাইকেল বিন খালি না করেন। রিসাইকেল বিনের ধারনক্ষমতা আপনি নিজের মত করে ঠিক করে দিতে পারবেন। এজন্য ডেক্সটপে রিসাইকেল বিনে রাইট ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করেন। এরপর আপনি রিসাইকেল বিনের ধারন ক্ষমতা কম বেশি করতে পারবেন (মোট ডিক্সের শতকরা হিসাবে)।


তবে সাবধানতার জন্য Display Delete Confirmation Dialogue এ টিক দিয়ে রাখাই ভালো, না হলে ডিলিট চাপলেই আপনাকে ভাবার সময় না দিয়েই রিসাইকেল বিনে চলে যাব, অথবা অমনযোগীতায় ডিলিট বাটন এ চাপ পড়লে ফাইল ডিলিট হয়ে যাবে নিজেই জানবেন না। আর যদি নিজে ওভার শিওর হন, তাহলে Do not move files in Recycle Bin, remove it immediately when needed এ রাখতে পারেন, তাহলে আর শিফট-ডিলিট না চেপে শুধু ডিলিয় চাপলেই পিসি থেকে মুছে যাবে ফাইলটি, রিসাইকেল বিনে আর যাবে না। তবে এটা না করাই ভালো!

যা হোক এতো কিছুর পরও যদি ফাইল মুছে যায়, রিসাইকেল বিনেও যদি না পান, তাহলে আপনাকে ফাইল রিকভারী সফটওয়ার ব্যবহার করে ঐ ফাইলটি ফিরিয়ে আনতে হবে! এজন্য অনেক ধরনের সফটওয়ার আছে, ইচ্ছা করলেডাটা রিকভারি উইযার্ড ব্যবহার করতে পারেন।