জুমলা দিয়ে বাংলা ওয়েব সাইট তৈরী

নিজের জীবন বৃত্তান্ত রাখার জন্য তিন পাতার একটা তৈরী করা যতটা সহজ, হাজার হাজার ব্যবহারকারী বা সদস্যদের জন্য পরিবর্তনশীল বিষয়বস্তু নিয়ে একটা ডায়নামিক ওয়েব সাইট তৈরী করাটা তত সহজ নয়। ছোট আকারের সাইটের জন্য HTML বা বড়জোড় ফ্রন্টপেজের মতো একটা এডিটর ব্যবহার করা যথেষ্ট। কিন্তু একটা ডায়নামিক ওয়েব সাইট তৈরী করা এবং তা নিয়মিত আপডেট করা বেশ ঝামেলার ব্যাপার। ডায়নামিক ওয়েব সাইট বলতে সেসব ওয়েব সাইট বোঝানো হচ্ছে যাদের বিষয় বস্তু নিয়মিত বা প্রায়ই পরিবর্তন হয়। খবরের কাগজ, পোর্টাল, ব্যবহারকারী ফোরাম ইত্যাদি ডায়নামিক সাইটের উদাহরন হতে পারে।
বড় বড় কোম্পানি তাদের ওয়েব সাইটের জন্য বিশেষ দল বা জনবল নিয়োগ করলেও, ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বিশেষের পক্ষে তাদের ওয়েব সাইট পরিবর্তন বা আপডেট করা অনেক সময় খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, অনলাইনের একটা খবরের কাগজকে প্রতিদিন আপডেট করতে হয়।
এ ধরনের কাজের জন্য বিশেষ সফটওয়ার থাকলেও তা বেশ দামী, অনেক সময় ব্যবহার করাও কঠিন। উপরন্তু একাধিক ব্যক্তি কোন সাইটে আপডেট করতে চাইলে এ ধরনের সফটওয়ার তাদের মধ্যে যোগাযোগের তেমন একটা সুবিধা দিতে পারে না। অনেক সময়, একাধিক রিপোর্টারকে একসাথে কোন খবরের সাইট আপডেটের কাজ করতে হয়।
অপর দিকে, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বব্যাপী নতুন বাজার খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাদের ওয়েব সাইটকে বিভিন্ন দেশের জন্য স্থানীয় ভাষায় অনুবাদের প্রয়োজন হচ্ছে। এসব সাইট ভিজিটরের স্থান বুঝে বা জিজ্ঞেস করে তাকে স্থানীয় ভাষার সাইটে পাঠিয়ে দিতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতেও ডেস্কটপ সফটওয়ার খুব একটা সুবিধা দিতে পারে না।
সিএমএস বা কনটেন্ট ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম হলো উপরোক্ত সমস্যাসমূহের সমাধান। সিএমএস এর জন্য কোন সুনির্দষ্ট সংজ্ঞা না থাকলেও, সি এম এস সফটওয়ার কী করতে পারে তা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই।

বাংলা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাবার আগে সিএমএস কী এ সম্পর্কে কিছু জানা যাক। কোন সংজ্ঞা না দিয়ে সহজ করে বললে-
সিএমএস কোন ওয়েব সাইটকে চালানোর উপযোগী একটি সফটওয়ার। যখন কোন ভ্রমণকারী ওয়েবসাইটের কোন কিছু দেখতে চান, তখন সিএমএস সফটওয়ার সেটা যোগান দেয়। পাশাপাশি, সিএমএস এর সুবিধা ব্যবহার করে ওয়েব মাস্টার প্রয়োজনে তার ওয়েব সাইটে বাড়তি তথ্য, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি যোগ করেন। পুরোনো তথ্য ইত্যাদি আর্কাইভ করে রাখার সুবিধাও থাকে। নিবন্ধিত সদস্যসরা তাদের নিজেদের খবর, তথ্য ইত্যাদি জমা দিতে পারেন। কোন সম্পাদক তা অনুমোদন করলে তা প্রকাশ পাবে, এমন ব্যবস্থাও থাকে। এ ধরনের সব সুবিধা থাকে সিএমএস এর ব্যাক এন্ডে।
যে সব ওয়েব সাইটের বিষয় বস্তু প্রায়ই পরিবর্তিত হয়, সেসব ওয়েব সাইট দেখভাল করার জন্য সিএমএস এর চাইতে ভাল আর কিছু হতে পারে না। যে সব সাইট সদস্য ব্যস্থাপনা করে তাদেরও অনেক কিছু দিতে পারে সিএমএস।

বাংলার জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়:
বাংলা লেখা বিষয়াদি রাখতে হলে কিছু বিশেষ দিকে নজর দেয়া দরকার.
প্রথমটি হলো এনকোডিং। ইউনিকোড বেশ জনপ্রিয় বলে সব সিএমএসই ইউনিকোড সমর্থন করছে। ইউনিকোড লেখা আবার একাধিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত হতে পারে। utf-8 অধিকাংশ সময় দেখা যাচ্ছে।
UTF-8 মূলত আসকির সাথে অতিরিক্ত সংযোজন। এতে ইংরেজী অক্ষরগুলোর জন্য এক বাইট করে দরকার হয়। সে যুক্তিতে সব আসকি লেখা utf-8 কোডের মধ্যে পড়ে। আবার বাংলার ক্ষেত্রে প্রতিটি মূল বর্ণ তিন বাইট করে জায়গা নেয়। সংযুক্ত বর্ণ আরো বেশী। এতে কিছু সমস্যা হয়।
ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা ওয়েব পেজ দেখার জন্য কম্পিউটারে অন্তত একটি ইউনিকোড সমর্থিত বাংলা ফন্ট থাকতে হয়। ইন্টারনেটে এ রকম বেশ কিছু ফন্ট মাগনা পাওয়া যায়।
অধিকাংশ ব্রাউজার এখন বাংলা দেখাতে পারে যদি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমে তার সাপোর্ট থাকে। উইন্ডোজ ২০০, এক্সপি, লিনাক্স, ম্যাক ওস সহ প্রায় সব অপারেটিং সিস্টেমে এখন ইউনিকোড সমর্থন আছে। তবে বাংলার জন্য বিশেষ প্যাক ইনস্টল করতে হতে পারে। আবার, ব্রাউজারে এনকোডিং সেট করে দিতে হতে পারে অনেক সময়।
বাংলা অক্ষর প্রবেশ করানোর জন্য একটি বাড়তি সফটওয়ারের দরকার হয়। ওয়েব ভিত্তিক, পুরো সফটওয়ার, ইংরেজী ভিত্তিক ইত্যাদি একাধিক সফটওয়ার এখন সহজলভ্য।অভ্র, মাইক্রোসফটের আইএমই,ইত্যাদি।
ভালো বাংলা ওয়েব সাইট বলতে আমরা সে গুলোকে বোঝাতে চাই যেগুলো জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন সার্চ করতে পারবে এবং W3C সমর্থিত যেকোন ব্রাউজারে দেখা যাবে। পিডিএফ, গিফ ইত্যাদি দিয়ে বাংলা অক্ষর দেখানোর বুদ্ধি এখন অচল।

জুমলা কী জুমলা ওপেন সোর্স ম্যাটার্সের তত্বাবধানে পিএইচপিতে লেখা একটি উন্মুক্ত সোর্সের সিএমএস সফটওয়ার। জুমলা ম্যাম্বো নামক আরেকটি সিএমস থেকে জন্ম দিয়ে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই দ্রুত জনপ্রিয়তার কারন হলো, প্রচুর সংখ্যক এক্সটেনশনের সহজলভ্যতা, নির্ভরযোগ্য সহায়তার জন্য সক্রিয় ফোরাম এবং সর্বোপরি জুমলা ব্যবহারে সহজতা। জুমলা.অরগ ও এর বিভিন্ন সাব সাইটে জুমলা সম্পর্কিত সব তথ্য পাওয়া যাবে। এখানে খুব সংক্ষেপে জুমলার ফিচার নিয়ে কিছু বলছি-
ডেটাবেস চালিত- সাইটের সব লেখা, বিষয় বস্তু একটি ডেটাবেসে রক্ষিত হয়। সাইট ব্যাকআপ বা স্থানান্তর করতে এতে কোন সমস্যা হয় না। জুমলা মাইএসকিউএল ও পিজিএসকিউএল সমর্থন করে।
সব ধরনের বিষয়স্তু ক্যাটাগরিতে বিন্যস্ত থাকে। ক্যাটাগরিগুলো আবার বিভিন্ন সেকশনের অধীন। ব্লগ, আরএসএস ইত্যাদির জন্য রেডিমেড সেকশন ও ক্যাটাগরি প্রস্তুত করাই আছে।
সেকশন, ক্যটাগরি, বিষয়বস্তু একাধিক সম্পাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
লেখা সম্পাদনা করার জন্য ওয়ার্ডের মতো বিল্টইন এডিটর আছে।
সাইটের টেম্পলেট পুরোপুরি কাস্টমাইজ করা যায়। এ কারনে জুমলা দিয়ে যে কোন ধরনের ওয়েব সাইট তৈরী করা যায়। জুমলার সাথে দুটি টেম্পলেট দেয়া আছে, ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে অনেক টেম্পলেট পাওয়া যায়। সব চেয়ে ভাল ফলাফলের জন্য বাণিজ্যিক টেম্পলেটও ব্যবহার করা যায়।
ছবি বা যে কোন মাল্টিমিডিয়া কন্টেট এফটিপি বা ব্রাউজার দিয়ে আপলোড করা যায়। এসব ছবি, ভিডিও সাইটের যে কোন স্থানে লেখার মাঝে ব্যবহার করা যায়। মাল্টিমিডিয়া কন্টেটের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনার জন্য বাণিজ্যিক কম্পোনেন্টও পাওয়া যায়।
ফোরাম ও মতামত জরিপের সুবিধা।
আর্কাইভ ও অনুসন্ধান সুবিধা।
অ্যাপাশি সহ প্রায় সব ওয়েব সার্ভারে চলে।
ব্যবহারকারী ও তাদের গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
একাধিক ভাষার সমর্থন।

হাতে কলমে করুন:
জুমলা দিয়ে বাংলা ওয়েব সাইট বানাতে হলে জুমলা ছাড়াও কিছু এক্সটেনশনের প্রয়োজন হবে। সাইট ডেভেলপমেন্টের পুরো কাজটা করার জন্য আপনার কম্পউটারে একটা লোকাল সার্ভারের ব্যবস্থা করতে পারলে খুব দ্রুত কাজ করতে পারবেন। এ বিষয়ে এ সাইটে আরেকটি টিউটোরিয়াল আছে। লোকাল সার্ভারে সব কাজ শেষ করে তা ইন্টারনেট ওয়েব সার্ভারে আপলোড করতে পারেন।
১. জুমলাআপনার ওয়েব সাইটে শুধু বাংলা (একটি ভাষা) চাইলে আপনি জুমলা বিডি থেকে জুমলার লোকালাইজড সংস্করণ নামিয়ে নিন। আবার যদি সাইটের সব তথ্য বাংলা এবং ইংরেজী উভয় ভাষায় রাখতে চান তবে জুমলার মুল সাইট থেকে জুমলা নামান। এ ক্ষেত্রে আপনার জুমফিশ দরকার হবে। বাংলা জুমলা অথবা জুমলা যেটা নামান না কেন তা আনজিপ করে কোন একটা সার্ভারে (লোকাল বা ইন্টারনেট) রাখতে (বা আপলোড ) করতে হবে। জুমলা ইনস্টলের উপর একাধিক টিউটোরিয়াল আছে। সেখান থেকে সাহায্য নিন।
২. জুমফিশএকই ওয়েব সাইট একাধিক ভাষায় করতে চাইলে জুমলার সাথে প্রয়োজন হয় জুমফিশের। জুমফিশ আপনাকে সাইটের বিষয় বস্তু একাধিক ভাষায় অনুবাদ করার জন্য সুবিধা করে দেবে। কোন ভিজিটর যখন এরকম কোন সাইট দেখবেন, তখন তিনি তার পছন্দের ভাষা নির্বাচন করতে পারেন। আবার, আপনি ইচ্ছা করলে ভিজিটরের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য নিয়ে তাকে যথাযথ ভাষায় সাইটের বিষয় বস্তু দেখাতে পারেন। জুমফিশ এখান থেকে ডাউনলোড করা যাবে। ইনস্টল করার জন্য এডমিন লগইন করে কম্পোনেন্ট হিসাবে ইনস্টল করতে হবে। ইনস্টলের আগে কিছু কিছু ফোল্ডারের অনুমতি 777 করতে হতে পারে।
৩. JCEজুমলা ইনস্টলের পর পরই আপনার ওয়েব সাইট তৈরি হয়ে যাবে। বাকী থাকবে সাইটে বিভিন্ন বিষয় বস্তু যোগ করা। যারা ওয়ার্ডে একটু আধটু টাইপ করতে পারেন তারাও জুমলাতে নতুন বিষয় বস্তু যোগ করতে পারেন বা সম্পাদনা করতে পারেন। এ ধরনের সম্পদনার জন্য জুমলাতে ডিফল্ট হিসাবে TinyMCE থাকে। এর চেয়ে আরেকটু ভাল এডিটর হলো JCE. আমাদের এই সাইট থেকে (পুরোনো কপি) বা JCE এর সাইট থেকে আপনি JCE ও এর বিভিন্ন প্লাগইন নামাতে পারেন।
৪. SEFx সবাই ওয়েব সাইট বানান অন্যকে দেখানোর জন্য। আর নতুন কোন ওয়েব সাইট সাধারণত সবাই খুঁজে পায় সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যামে। কাজেই সার্চ ইঞ্জিন যাতে সহজে খুঁজে পায় এ ব্যপারটি সাইট তৈরী করার সময় মনে রাখা খুব জরুরী। জুমলা ডিফল্ট হিসাবে যে URL তৈরী করে তা খুব একটা সুবিধার না। এ কাজটি আরও ভালমতো করতে পারে SEFx নামক কম্পোনেন্ট। SEFx ছাড়া একই ধরনের আরও কম্পোনেন্ট আছে তবে কোনটিই (এ লেখা লেখার সময়)জুমফিশের সাথে কাজ করে না। কাজেই বাংলা ওয়েব সাইটের জন্য SEFx খুবই উপযোগী।
অনুবাদ কাজ:
একাধিক ভাষার ওয়েব সাইটে নতুন কোন বিষয় যোগ করলে তা নিজে থেকে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করে দিতে হয়। (গুগলের অনুবাদ সার্ভিস ব্যবহার করেও কিছু ভাষার স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ করা যায়)। জুমফিশ নিজে কোন অনুবাদ করে না, তবে অনুবাদ কাজে সাহায্য করে। বাংলা ফোরামে এ নিয়ে ছোট্ট একটা টিউটোরিয়াল আছে।
সাইটের নিরাপত্তা:
একটা ওয়েব সাইট তৈরী ও তা হোস্ট করার জন্য বিশেষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। জুমলা ওয়েব সাইট তৈরীর কাজটা এত সহজ করে দেয় যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিষয়টা চাপা পড়ে যায়। একটা সাইটকে নিরাপদ রাখার জন্য অনেক করণীয় কাজ থাকে। জুমলার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক জানার জন্য নিরাপত্তা ফোরাম হলো সবচেয়ে ভাল জায়গা। খুব সংক্ষেপে বললে, পিএইচপিএর রেজিস্টার গ্লোবাল অফ থাকা প্রয়োজন। জুমলা সাইটে কোন ফাইলের অনুমতি 666 বা 777 থাকা চলবে না। সাময়িক প্রয়োজনে কোন ফাইলের অনুমতি বা করলেও তা কাজ শেষে তুলে নিতে হবে। উদাহরন স্বরূপ, configuration.php তে কোন পরিবর্তন দরকার হলে তা 666 করে কাজ শেষে 644 করে দিতে হবে। নতুন কম্পোনেন্ট বা মডুল ইনস্টল করতে হলে component বা module ফোল্ডার 777 থাকা দরকার। ইনস্টল কাজ শেষে তা 755 রাখতে হবে। জুমলার নিত্য কাজের জন্য কিছু ফোল্ডার যেমন, cache এর অনুমতি 777 থাকতেই হবে, এক্ষেত্রে করার কিছু নেই। সর্বোপরি নিয়মিত বিরতিতে এবং কোন আপডেটের পর পরই সাইটের ব্যাকআপ রাখা।

cake php learn

কেক পিএইচপি (পিএইচপি ফ্রেম ওয়ার্ক) - ১
কদিন ধরে ভাবসিলাম নিয়মিত লিখব এবং কনো একটা বিষয়ের উপর ধারাবাহিক লিখব, যাই হউক বেছে নিলাম পিএইচপি ফ্রেম ওয়ার্ক কেক পিএইচপি। যারা পিএইচপি দিয়ে ওয়েব ডেভোলপড করেন তারা নিশ্চয় এতদিনে কনো না কনো ফ্রেম ওয়ার্ক ইউস করে থাকবেন, আবার না করলে যে কনো সমস্য তাও নয়। তবে একথা স্যত্তি যে র কডিং থেকে আপনি যদি ফ্রেম ওয়ার্ক ইউস করেন তবে আপনি খুব আল্পো দিনেই পুরনাংগো একটা সাইট দার করাতে পারবেন।এ পযন্তো পিএইচপি এর উপরে অনেক ফ্রেম ওয়ার্ক হয়েসে, যারা আরো জানতে চান তারা এই খানে ক্লিক করে জানতে পারবেন।তবে আমার মতে সব ফ্রেম ওয়ার্ক ঘাটাঘাটি না করে যে কনো একটা ভাল মতো আয়ত্তে আনতে পারলে হবে, এবং পরে দেখা যাবে সব গুলিই একিরকম।CakePhp এই সাইট থেকে আপনি খুব সহজে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। যদিও এই সাইট এ নিয়মিত হলে আপনি এমনি CakePhp শিখে ফেলবেন। সাইটটিতে অনেক হেল্পফুল ইনফর্মেশন পাবেন।প্রথমেই বলে রাখি CakePhp হলো একটি MVC Framework. MVC stands for Model-View-Controller. যেটা পুরাটাই Class Base. ও হা CakePhp শেখার আগে কিসু Class Basic ধারোনা থকতে হবে। না থাক্লেও যে খুব একটা অসুবিধা হবে তা না, তবে টার্ম গুলা বুঝতে অসুবিধা হতে পারে।About MVC -Model-View-Controller is a software design pattern that helps you logically separate your code, make it more reusable, maintainable, and generally better. Model View Controller was first described by the author group Gang of Four. Dean Helman wrote (an extract from Objective Toolkit Pro white paper):"The MVC paradigm is a way of breaking an application, or even just a piece of an application's interface, into three parts: the model, the view, and the controller. MVC was originally developed to map the traditional input, processing, output roles into the GUI realm.Input -> Processing -> OutputController -> Model -> View"The user input, the modeling of the external world, and the visual feedback to the user are separated and handled by model, view port and controller objects. The controller interprets mouse and keyboard inputs from the user and maps these user actions into commands that are sent to the model and/or view port to effect the appropriate change. The model manages one or more data elements, responds to queries about its state, and responds to instructions to change state. The view port manages a rectangular area of the display and is responsible for presenting data to the user through a combination of graphics and text."In Cake terms, the Model represents a particular database table/record, and it's relationships to other tables and records. Models also contain data validation rules, which are applied when model data is inserted or updated. The View represents Cake's view files, which are regular HTML files embedded with PHP code. Cake's Controller handles requests from the server. It takes user input (URL and POST data), applies business logic, uses Models to read and write data to and from databases and other sources, and lastly, sends output data to the appropriate view file.To make it as easy as possible to organize your application, Cake uses this pattern not only to manage how objects interact within your application, but also how files are stored, which is detailed next.আমার মনেহয় আপ্নারা এতখনে ধরতে পেরেছন MVC ফ্রেম কি ?আজকে আর লিখব না, কারন যখন লিখছি তখন ঘরিতে রাত ৩ টা বাজে, কাল অফিস আছে, আগামীকাল লিখব পরবর্তি পার্ট।
কেক পিএইচপি (পিএইচপি ফ্রেম ওয়ার্ক) - ২
পার্ট-১আগের পার্ট এ MVC -নিয়ে আলচনা করেছিলাম, আমার মনেহয় পাঠকেরা বুঝতে পেরেছেন। আজকে প্রথেমেই কিছু Software এর নাম বলব , পারলে এগুলো ডাউনলোড করে নিবেন, ১। PsPad - এটি একটি নোটপ্যাড, যেটা আপনি ব্যবহার করে সহজে কোড করতে পারবেম।২। DBDesign - এটি একটি ডাটাবেস ডিজাইন সফটওয়্যার, যেখানে আপনি আপনার প্রজেক্ট এর ডাটাবেস ডিজাইন করে সহজে MySql - এ তুলে দিতে পারবেন। এছারাও এটা দিএ টেবিল, টেবিল ফিল্ড আগুলো বানাতে পারবেন। আরো একটা বিষয় আছে - ডিবিডিজাইন দিয়া সরাসরি কেক অথবা সিম্ফনি ফ্রেম ওয়রক এ মডেল বানানো যাই।৩। XAMPP - এর সম্পরকে কিছু বলার নাই, আমার মনেহয় সবার এইটা জানে এইটা কি জিনিষ।আমার মনেহয় সফটওয়্যার তিনটি আপনি পেয়ে গেসেন। এখন ইন্সটল করে নিন। আমরা এই লেখার মাধমে একটি সিম্পল ব্লগ সাইট বানাবো। তবে হা , কাজ সুরু করার আগে C:\xampp\apache\conf - এই ফল্ডারে গিয়ে httpd.conf ফাইল টা open করুন, এখানে - #LoadModule rewrite_module modules/mod_rewrite.so - এই লাইন টা খুজে সামনে থেকে # সিম্বল টি তুলে দিন। এর পর xampp এর Control Panel এ গিয়ে xampp এর Apache - এক বার Restart করুন। যে কনো ব্রাউসার অপেন করে http://localhost/ লিখে দেখুন xampp ঠিক আসে কিনা।যদি কেউ অন্য ড্রাইভ এ XAMPP ইন্সটল করে থাকেন তবে শেই ড্রাইভ লোকেশন এ যেতে হবে। আমি এখানে C:\ Drive এর কথা উল্লেখ করেছি।ও আপ্নারা তো cakePHP download করেছেন । এখন cakePHP টাকে আনযিপ করে C:\xampp\htdocs\ এর ভিতর রাখুন । আপাতত আমাদেভ সব ব্যসিক ইন্সটল শেষ, যদি কনো প্রব্লেম হয় আমাকে কমেন্ত করে জানাতে পারেন। আমরা যে cakePHP ফোল্ডার টিকে htdocs এর মধ্যে রেখেসি সেখানেই ফ্রেম ওয়রক এর ফাইল গুলা থাকবে, আর এখান থেকে আমারা কেক এর Class use করব।আরো কিছু জানা প্রয়োজন - Array concept, Basic HTML, Basic PHP, and Basic Sql Query.এখন htdocs ফোল্ডার এ একটি Folder Make করুন নাম দিন Blog.আমার মনে হয় এখন আমরা Ready to use CakePhp.

কেকপিএইচপি - ৩

আগের পর্বে আমরা আলচনা করেছিলাম, কিভাবে কেক এর জন্য অ্যাপাচি কে কনফিগার করে নিতে হয়। আজকে আমি একটি ওয়েবসাইট বানানোর পুর্ববত্রী বিসয় গুলো নিয়ে বলব।১। ডাটবেস ডিজাইন (কেক এর ক্ষেত্রে মনে রাখবেন আপনার ডাটাবেসটি যতটা সম্ভব রিলেশনাল রাখার জন্য, তাহলে কেক এর ইন্টারনাল সুবিধা পাওয়া যাই, পরে আরো বলব, সরাসরি মাইএস্কিউল এ রিলেশনাল ডাটাবেস তৈরী করা ঝামেলা হয়, এ জন্য ডিবিডিজাইন সফটওয়্যার টি দিয়ে সহজে করতে পারবেন।)২। ফ্রন্টইন্ড (ফ্রন্ট ইন্ড বলতে যা বঝায় তা হলো আপনার ওয়েবসাইটের পাব্লিক চেহারা, ইউসার রা যেভাবে আপনার সাইটটি দেখবে এবং ইউস করবে)৩। ব্যাকইন্ড অথবা অ্যাডমিন প্যানেল - মনে রাখবেন যে কনো সাইটের একটি অ্যাডমিন সাইড থাকা অত্যান্ত জরুরী, কারণ সাইটটির ব্যবস্থাপনার জন্য এটা রাখা হয়। ধরুন আপনার সাইটের কনো ইউসার কে আপনি ব্লক করে দিতে চান, কি করবেন ? কডিং এ পরিববত্তন আনবেন ? নাকি ডাটাবেস থেকে তাকে ডিলিট করে দিবেন ? এগুলোর কিছুই লাগবেনা, আপনি আপনার সাইটের অ্যাডমিন প্যনেল এ গিয়ে সেই ইউজার এর অ্যাক্টিভনেস কে ফল্‌স করে দিবেন, তাহলে সে আর আপনার সাইট ইউস করতে পারবে না। এই ধরনের কিছু ব্যবস্থাপনা নিয়ে অ্যাডমিন সাইড তৈরী করা হয়।৪। টেম্পলেট ডিজাইন এবং হেডার, ফুটার, লেফট্‌ সাইড, রাইট সাইড নির্বাচন।মোটামুটি ভাবে এই কয়টার ব্যপার এর উপড় প্রাথমিক নজর দিতে হবে।আজকে এই পর্যন্ত। অফ টপিক ঃ প্রথম আলোর ব্লগ কি ফায়ার ফক্স এ সমস্যা করতেছে ? ফ্রন্ট পেজের রাইট মেনু গুলো নিচে নেমে গেছে। আই,ই তে ঠিক আছে।
কেক পিএইচপি পর্ব - ৪

আগের পর্বে ওয়েব সাইট তৈরীর পুর্ববত্রী বিসয় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজকে দেখব কিভাবে কেক এর জন্য ডাটাবেস তৈরী করে নিতে হয়। কেক এর জন্য ডেটাবেস তৈরির কিছু শর্ত আছে - ১। টেবিল এর নাম দিতে হবে ইংরেজী ওয়ার্ড এর প্লুরাল ফরমেটে যেমন, students, blogs, comments, categories, customer_products, customer_categories, customer_payment_infos, etc.না শুধু শেষে s যুক্ত করলে হবে না, আপনি যদি category এর শেষে s যুক্ত করেদেন তাহলে হবে না, আপানাকে category এর প্লুরাল ফরম লিখতে হবে তার মানে টেবিলের নাম হবে categories। ২। চারটা ফিল্ড সবসময় ঠিক রাখবেন যে কনো টেবিল বানানর জন্য, id (type - integer, PK ), created (type - datetime), modified (type - datetime), active (type - bool)। খেয়াল রাখবেন বানান গুলা যেন ঠিক থাকে এবং ডেটাটাইপ গুলা।
আগের পর্বে আমরা ডেটাবেস এর টেবিল বানানোর উপর কিছু নিয়ম- এর কথা বলেসিলাম। আজকে আমরা দেখবো কিভাবে ডিবি ডিজাইন দিয়ে ডাটাবেস বানাতে হয়।১। টেবিল তৈরী - আমরা আগেই বলেছিলাম আমরা একটা ছোট ব্লগ সাইট বানাবো। ধরুন আমাদের সাইট ব্লগ পস্ট করা যাবে আর কমেন্ট দেয়া যাবে সেই ব্লগ এর উপর।সুতরাং এই কাজের জন্য আমাদের ২টি টেবিল হলে যথেষ্ট। আমরা ২টা টেবিল বানালাম , একটা ব্লগস এবং কমেন্টস।আমারা বলেছিলাম প্রত্যক টি ব্লগ এর জন্য আলাদা আলদা কমেন্ট দেয়া যাবে, তাই আমাদের কমেন্ট টেবিল এ ব্লগ টেবিল এর PK-(ID) কে কমেন্ট টেবিল এর Foreign key বানাতে হবে।এবার phpmyadmin দিয়ে একটা ডেটাবেস তৈরি করুন নাম দিন myblog. এর পর আবার ডিবিডিজাইন অপেন করুন। উপরে ডেটাবেস ট্যাব সিলেক্ট করুন। Database -> Connect to Database দিন। box open হবে, বাম পাশ থেকে localhost select করে myblog খুজে বের করুন। এর পর myblog কে টেনে ধরে ডান পাশের সাদা বক্স এ নিয়ে আসুন এর পর সাদা বক্স থেকে myblog সিলেক্ট করলে নিচে connect button এ ক্লিক করুন, এভাবে আমরা ডিবিডিজাইন দিয়ে Mysql এ আমাদের ডেটাবেস myblog এর সাথে কানেক্ট করলাম।এরপর আবার Database->Synchronisation [ Database TAB ] click করুন । বক্স আসবে ওখান থেকে myblog select করে কানেক্ট দিন, আরেকটি বক্স আশবে, পরের বক্স থেকে Execute button click করুন। ব্যাস টেবিল গুলো ডাটাবেস এ উঠে যাবে, এবার আপনি phpmyadmin দিয়ে check করে নিতে পারেন ।

ছবি আপলোড করার দ্রুততর সাইট

ছবি আপলোড করার দ্রুততর সাইট


আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন প্রকার ছবি বা ইমেজ ফাইল অনলাইনে হোস্ট করার দরকার পরে।
ফোরামে দেখানো, ব্লগে প্রদর্শন করা, বা সরাসরি লিংক হিসেবে ব্যবহার করার জন্য অনলাইনে যদি আমরা কোন পিকচার ফাইল আপলোড করতে চাই, তাহলে তা করা যায় খুব সহজে।
আর এ জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যারা অনলাইনে পিকচার ফাইল আপলোড করার সুবিধা দেয়।
যেমন imageshack.us, tinypic.com photobucket.com ইত্যাদি। কিন্তু এগুলোর একটি কমন অসুবিধা হলো যে এই সাইটগুলো লোড হতে অনেক সময় নেয়। প্রত্যেকটা সাইট ওপেন হবার সাথে সাথে বিভিন্নরকম পিকচার বা ইমেজ ওয়েবসাইটের সাথে সাথে ব্রাউজারে লোড হয়। তাই ইন্টারনেটের গতির কোনরকম সমস্যা থাকলে এইসব সাইটে হোস্ট করা ইমেজ লোড হতেও অনেক দেরী হয়। কিন্তু Pict.com নামক সাইটটি এইসব সমস্যা থেকে একেবারেই মুক্ত।এই সাইটে কোনরকম বাহুল্য কোন বিজ্ঞাপন নেই।
আলাদা রকমের কোনরকম ইমেজ ফাইল ওয়েবসাইটটির সাথে সাথে লোড হয়না। ফলে সাইটটি নিজেই লোড হয় খুবদ্রুত। আর এই সাইটে হোস্ট করা ইমেজটিও লোড হয় খুব তাড়াতাড়ি।আপলোড করার ইমেজটির বিভিন্ন রকমের কোড এবং ডাইরেক্ট লিংক তো প্রদান করেই।
এছাড়া অন্যান্য সাইটগুলোর মতো বিভিন্নরকম এ্যালবাম তৈরির সুযোগ রয়েছে এই pict.com সাইটটিতে।

উইন্ডোজ এক্সপি ও ২০০০ এর এডমিন পাসওয়ার্ড ব্রেকিং!

উইন্ডোজ এক্সপি ও ২০০০ এর এডমিন পাসওয়ার্ড ব্রেকিং!


এমনটা অনেকেরই হয় যে এই মাত্র উইন্ডোজ এক্সপি বা উইন্ডোজ ২০০০ সেটাপ করে লগইন করতে গিয়ে দেখলেন পাসওয়ার্ড কাজ করছে না। সেটাপের পাসওয়ার্ড দেয়ার সময় অন্যমনস্ক থাকার কারনে এটি হতেই পারে…! কিন্তু কি করবেন এক্ষেত্রে? আপনাকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্যই ছোট একটা টিপস দিচ্ছি। আবার নতুন করে সেটাপ না দেয়ার আগে চেষ্টা করে দেখতে পারেন-আপনার পার্টিশন যদি NTFS না হয়ে FAT32 হয় তাহলে-১) একটি উইন্ডোজ ৯৮ এর বুট ডিস্ক দিয়ে পিসি বুট করুন২) ডস কমান্ড দিয়ে উইন্ডোজ যে ড্রাইভে সেটাপ করা হয়েছে সেখানে চলে যানউদাহরণ:উইন্ডোজ ২০০০ এর জন্য-ক) কমান্ড: cd C:\WINNT\system32\configখ) কমান্ড: attrib -s -h -r samগ) কমান্ড: del samউইন্ডোজ এক্সপি’র জন্য-ক) কমান্ড: cd C:\WINDOWS\system32\configখ) কমান্ড: attrib -s -h -r samগ) কমান্ড: del sam(ধরে নেয়া হয়েছে আপনি ড্রাইভে আপনার অপারেটিং সিষ্টেম সেটাপ করেছেন)আপনার পার্টিশন যদি FAT32 না হয়ে NTFS হয় তাহলে-

১) আপনার পিসির হার্ডডিক্সটি খুলে অন্য একটি পিসিতে লাগিয়ে নিন২) নিচের লোকেশনে চলে যান-উইন্ডোজ ২০০০: C:\WINNT\system32\configorউইন্ডোজ এক্সপি: C:\WINDOWS\system32\config৩) sam ফাইলটি ডিলিট করে দিন বা রিনেম করে দিন।পিসি রিষ্টার্ট করুন……–উপরের বর্নিত সিস্টেমে যারা পাসওয়ার্ড রিসেট করতে পারবেন না তাদের জন্য আরো সহজ একটি ব্যবস্থা দিচ্ছি-১) একটি এক্সপি বুট ডিক্স দিয়ে পিসি বুট করুন

২) সেটাপ শুরু হওয়ার সময় press R to begin the Repair process.

৩) রিপেয়ার মুডে সেটাপ চলতে দিন যতক্ষন না Installing Devices পোগ্রোস বার দেখা যাবে (একবার রিস্টার্টের পর এটি আসে)

৪) Installing Devices দেখা মাত্র press SHIFT + F10 …কমান্ড কনসোল খুলে যাবে তাতে। (এটি এক্সপির একটি সিকিউরিটি বাগ… যতদিন মাইক্রোসফট এটি ফিক্স না করবে, ততদিন ব্যবহার করতে পারবেন)।

৫) কমান্ড প্রম্পটে টাইপ করুন- NUSRMGR.CPL and press Enter… এক্সপির User Accounts প‌্যানেল পেয়ে যাবেন।

৬) User Accounts থেকে পাসওয়ার্ড রিসেট বা নতুন ইউজার ক্রিয়েট করে এডমিন একসেস দিয়ে দেয়া বা যেকোন কিছুই করতে পারেন….৭) পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে সিস্টেম রিস্টার্ট করুন।দ্যাটস ইট!

লিখেছেন TRIVUzসংগ্রহ করা হয়েছে ত্রিভুজ ব্লগ থেকে।